তাল মিছরি কেন খাবেন? কি হতে পারে তাল মিছরি খেলে?

তাল মিছরি (Palm candy)আমাদের পরিচিত খাবারের মধ্যে অন্যতম। মিছরি আমাদের কাছে পরিচিত একটি শব্দ। আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তাদের কাছে তাল মিছরি নিয়ে অনেক সুখকর সৃতি রয়েছে। এটি মূলত অসুখ-বিসুখে পথ্য হিসেবে ব্যাবহার হয়।আমরা যারা  পেটের নানা সমস্যায় ভুগছি তাদের জন্যও তাল মিছরি বেশ উপকারী। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে রক্তস্বল্পতায় ও কাজ করে তাল মিছরি।  এটি বেশ সুস্বাদু। এটি প্রাকৃতিক, তাই এর মধ্যে থাকা চিনি শরীরের জন্য উপকারি।

ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ ও বি১২ সমৃধ্য তালমিছরিতে রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। যার ফলে সর্দি-কাশি গলাব্যথা সবেতেই ব্যবহার হয় এই তাল মিছরি। 

কেউ যদি কাশির সমস্যায় ভুগেন তাহলে হালকা গরম পানিতে তাল মিছরি গুলে খেলে কাশি দূর হয় এবং গলায় জমে থাকা কফ, শ্লেষ্মা দূর হয়। তুলসী পাতার রসের সঙ্গে তালমিছরি গুলে খেলে কাশি কমে যায়।

বিভিন্ন জার্নালে তালমিছরির বেশ কিছু গুনের কথা প্রকাশ করেছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়ে হাড়ের জোরায় ব্যথা।  তালমিছরিতে থাকা ক্যালসিয়াম-পটাশিয়াম হাড়ের জন্য খুব ভালো। এক্ষেত্রে তালমিছরির শরবত বেশ উপকারী।

 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তালমিছরির সাথে আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, মধু, লেবু পানি খেতে হবে। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাদের জন্যেও খুবই ভালো তালমিছরি।

যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন, তারা যদি কালোজিরা ও তালমিছরি গুঁড়া দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খায় তাহলে ভাল ফল পাবে। সাথে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। শিশুকে চিনির বদলে দুধ কিংবা সুজির সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

অ্যানিমিয়ার সমস্যা তালমিছরি বেশ কার্যকর। রয়েছে যাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে, তারা তালমিছরির শরবত খেতে পারেন। কারণ এর মধ্যে থাকা আয়রন শরীরে নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তালমিছরি দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেও কাজ করে। বাদাম, মৌরি, তালমিছরি,গোলমরিচ গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।

যাদের সুগার সমস্যা রয়েছে তাদের তালমিছরি বেশি না খাওয়াই ভালো। যদিও তালমিছরির মধ্যে থাকা গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের মাত্রা ৩৫। যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়  না। বরং নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে ভিটামিনও খনিজ উপাদান। তবে যাদের সুগার রয়েছে তাদের তালমিছরি কিন্তু বেশি না খাওয়াই ভালো।